Translate

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ভারতীয় নাগরিকত্বের সনদ না পেয়ে জবকার্ড প্রত্যাখ্যান

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫



ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বিলুপ্ত বাংলাদেশী ছিটমহলের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্বের সনদ না পেলে সরকারের দেয়া জবকার্ড গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোচবিহারে থাকা সাবেক ছিটমহল বাসিন্দাদের জন্য জবকার্ড বরাদ্দের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ছিটমহলের বাসিন্দারা জানিয়ে দিয়েছেন, আগে ভারতীয নাগরিকত্বের সনদ দিলেই তারা জবকার্ড গ্রহণ করবেন। এই জবকার্ড দেখিয়ে একশ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করা সম্ভব হবে। অথচ বাংলাদেশের সাবেক ভারতীয় ছিটমহল থেকে যারা ভারতে আসছেন তাদের ইতিমধ্যেই ‘আইডেনটিটি পাস’ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি গত ৩১শে জুলাই মধ্যরাতে কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ৫১টি বাংলাদেশী ছিটমহলের প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দা তাদের ইচ্ছানুযায়ী ভারতীয় হয়ে গিয়েছেন 
। তবে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের রেশন কার্ড ও ভোটার আইডেন্টি কার্ড দেয়ার কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত হয়নি। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে জবকার্ড প্রদানের ব্যবস্থা হয়েছিল মাত্র। তবে কোচবিহারের জেলা সমাহর্তা পি উলগানাথন জানিয়েছেন, ভোট কার্ড প্রদানের কাজ সময়সাপেক্ষ। ভারতের জাতীয় নির্বচন কমিশনের মাধ্যমে এই কার্ড বা পরিচিতিপত্র দেয়া হবে। এজন্য কেন্দ্র চিহ্নিতকরণের কাজ করার প্রযোজন হবে। তবে তিনি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক ভারতীয় ছিটমহলের যে ৯৮৭ জন বাসিন্দা ভারতে আসার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন তাদের ভারতীয় হাইকমিশন ‘ট্রাভেল কাম আইডেনটিটি পাস’ হস্তান্তর করেছেন। তবে এরা আগামী ১লা নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ভারতে চলে আসবেন। এদেরই ৩৯ জনের এক প্রতিনিধিদল গত বুধবার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে কোচবিহার এসেছেন। এ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কোচবিহারের যে তিন জায়গায় বাংলাদেশ থেকে আসা ভারতীয়দের জন্য সাময়িকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব স্থান পরিদর্শন করেন। জানা গেছে, দিনহাটা, হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জে বাংলাদেশ থেকে আসা ৯৮৭ জনকে প্রথমে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হবে। পরে অবশ্য এদের জন্য স্থায়ী আবাসন তৈরি করে প্রতি পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হবে। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থায়ী পরিকাঠামোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে তারা অস্থায়ী শিবিরের এলাকাগুলোর সামাজিক ও পরিবেশগত অবস্থান খতিয়ে দেখবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে ১৯টি ছিটমহল থেকে ৯৮৭ জন ভারতীয় নাগরিকত্ব বহাল রাখার পক্ষে নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার ১০টি ছিটমহল, লালমনিরহাট জেলার ৭টি ও কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যন্তরের ৩টি ছিটমহল থেকে এসব মানুষ ভারতে যাবেন। তবে এদের ভারতে প্রবেশের জন্য তিনটি চেকপোস্ট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জানা গেছে, ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে কুড়িগ্রামের ৩০৫ জন বাঘভান্ডার-সাহেবগঞ্জ সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে, লালমনিরহাটের ২৪৩ জন বুড়িমাড়ী-চ্যাংরাবান্দা এবং পঞ্চগড়ে অবস্থানরত ভারতীয় ৪৩৯ জন নাগরিক চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসবেন।
 

Blogger news

Blogroll

Most Reading